প্রায় দুই বছর ধরে মিয়ানমারে সামরিক শাসন বিরাজ করছে। দেশটিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ধীর হয়েছে অর্থনীতির চাকাও। এ অবস্থায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে একের পর এক বিদেশী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মিয়ানমারে ব্যবসা কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি জায়ান্ট পিটিটির সাবসিডিয়ারি একটি কোম্পানি। খবর রয়টার্স।
পিটিটির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পিটিটি অয়েল অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস (পিটিটিওআর) সহিংসতা ও অস্থিরতার কারণে দেশটিতে জ্বালানি সরবরাহ ও স্টোরেজ কার্যক্রম স্থগিত রাখবে বলে জানিয়েছে। ২০১৯ সালে মিয়ানমারের কনগ্লোমারেট কানবাওজা গ্রুপের অধীন একটি ইউনিটের সঙ্গে পিটিটিওআর যৌথ উদ্যোগে ব্রাইট এনার্জি গঠন করে। এটির ৩৫ শতাংশের মালিক পিটিটিওআর।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের কাছে একটি জ্বালানি স্টোরেজ টার্মিনাল নির্মাণ করেছে ব্রাইট এনার্জি। এটি দেশটির বৃহৎ জ্বালানি স্টোরেজ টার্মিনাল বলে আশা করা হচ্ছে। এর কার্যক্রম, নির্মাণকাজ ও অর্থ প্রদান স্থগিতের কারণ উল্লেখ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে পিটিটিওআর।
এর আগে চলতি মাসের ১৫ তারিখে নরওয়ের গভর্নমেন্ট পেনশন ফান্ড গ্লোবাল পোর্টফোলিও থেকে পিটিটিওআর ও তার প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান পিটিটিকে সরিয়ে দিয়েছে। এর পরই মিয়ানমারে ব্যবসা কার্যক্রম স্থগিত করার কথা জানায় পিটিটির সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি। নরওয়ে তহবিল বিশ্বের বৃহৎ সার্বভৌম সম্পদ তহবিলগুলোর মধ্যে একটি।
নরওয়ের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে পিটিটি জানায়, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা পিটিটি গ্রুপের অন্যতম মৌলিক অনুশীলন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে পিটিটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এদিকে থাইল্যান্ডের মোট ব্যবহূত প্রাকৃতিক গ্যাসের ১৫ শতাংশই আসে মিয়ানমার থেকে।
Leave a Reply