পাথরবিহীন রেললাইনে সাত মিটারের আর মাত্র একটি স্লিপার বসানো বাকি। এটি সফলভাবে বসে গেলেই পদ্মা রেল সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হবে। এর পর ৪ এপ্রিল সেই লাইনে চলবে ট্রেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ওই দিন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতুতে মোট আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এখন শুধু একটি স্লিপার বাকি। তাহলেই শতভাগ কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপন করা হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের স্টিলের স্লিপারগুলো ছাড়া বাকি সব স্লিপার কংক্রিটের। আর সেগুলো চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে তৈরি করেছে। শুধু পদ্মা সেতুরই নয়, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন তৈরির জন্য সব স্লিপার ওখানেই তৈরি করা হয়। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্ট ও স্টিলের স্লিপারগুলো তৈরি করা হয় চীনে।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্র্যাকারে মূল সেতুর রেলের ট্র্যাক প্যানেল (লোহার পাত) আর মালামাল নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা রেল সংযোগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা নদী। সেই পদ্মায় এখন সেতু নির্মাণ হয়েছে। তবে বড় চ্যালেঞ্জের জায়াগা ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচ তলায় সূক্ষ্মভাবে টেকসই পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণই একটি চ্যালেঞ্জের কাজ। সেতুতে রেলসংযোগ আরও চ্যালেঞ্জিং।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৯৯ ভাগ কাজ শেষ। আমাদের কিছুটা সমস্যা হলেও পরে তা কেটে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ এপ্রিল মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক রেল চলাচল করবে।’
Leave a Reply