আমদানি করা সব ধরনের লুব্রিকেন্টস অয়েলের ওপর নতুন অর্থবছরে এনবিআর শুল্কায়ন মূল্য (ওভারইনভয়েস) অস্বাভাবিক হারে নির্ধারণ করায় বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার পাচারের পথ উন্মুক্ত হবে যা দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এইচএস কোড সংযোজন করায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবে বলে জানিয়েছে লুব্রিকেন্ট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লিয়াব)।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে আমদানিকৃত ফিনিশড লুব্রিকেন্টসের উপর অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক শুল্কায়ন (ট্যারিফ) মূল্য পরিবর্তনের দাবিতে’ লিয়াব সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে। এসময় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জমসের আলী এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ জমসের আলী বলেন, লুব্রিকেন্টস মূল্যবৃদ্ধি হলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে সকল নিত্যপণ্য সামগ্রীতে। ফিনিশড লুব্রিকেন্টসের কাঁচামাল হচ্ছে বেইজ অয়েল এইচএস কোড ২৭.১০.১৯.২১ এই বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ ডলার। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী (২৫০-৩০০) ডলার যোগ করলেই ফিনিশড লুব্রিকেন্টস তৈরি হয়। সেই ক্ষেত্রে ফিনিশড লুব্রিকেন্টসের আমদানি শুল্কায়ন মূল্য (ট্যারিফ) ২৫০০, ৩২০০, ৫০০০ ডলার নির্ধারণ সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ অযৌক্তিক।
এসময় সংগঠনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, অর্থপাচার রোধ, বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রক্ষা, পরিবহন, শিল্প, কল-কারখানা, বিদ্যুৎ, পাওয়ার প্লান্ট, কৃষি উৎপাদন, গার্মেন্টস শিল্প খাতে মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখা ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ন্যায্যতার জন্য ফিনিশড লুব্রিকেন্টস অয়েলের উপর ২০২৪-২৫ বাজেটে বাজার মূল্যের অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকৃত ২০০০ ডলার নির্ধারণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি এবং এই সেক্টরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লুব্রিকেন্ট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লিয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ জমসের আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোবারক আলী, পরিচালক আবুল কাসেম জামাল, দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, আবু সাইদ প্রমুখ।
Leave a Reply