প্রত্যেক মোড়ের কাছেই আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেসব প্রতিষ্ঠানে আছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। তাদেরকে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আবার সম্পৃক্ত করা হোক। কেননা –

ক) ইতোমধ্যে তারা তাদের সততা, আন্তরিকতা ইত্যাদি দিয়ে এ কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে দেখিয়েছেন। কাজেই তাদের আর নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই।
খ) এদেশে সাধারণ মানুষ শক্তিশালী কোন সত্ত্বার ভয়ে রাস্তায় নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলে। যেমনটা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে দেখা যায়। নিজের অর্ন্তগত শৃঙ্খলার তাগিদে বা দেশের প্রতি ভালবাসায় বা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতায় কেউ রাস্তায় নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলেন, এমনটা নয়। আর তরুণরা সম্মিলিতভাবে বেশ শক্তিমান। তাদেরকে উপেক্ষা করা কঠিন। এটাও ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তাই তরুণরা রাস্তায় থাকলে সার্বিক যানজট কমবে ও রাস্তায় শৃঙখলা আসবে বলে আশাবাদী।

গ) তারুণ্যের শক্তি অনেক। কোন ভাল পথে তা ব্যায় না হলে নিঃসন্দেহে খারাপ পথে ব্যায় হবে। তাই তাদেরকে ভাল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশের আগে বা পরে বা ফাঁকে ফাঁকে শিডিউল করে করে তাদেরকে যদি নিকটস্থ বড় মোড়গুলোতে (একটি ক্লাশের শিক্ষার্থী দৈনিক এক ঘন্টাও যদি কাজ করে তো অনেক!) ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানো যায় তাহলে তাদের ভাল কাজে সম্পৃক্ততা বাড়বে। ব্যস্ততা বাড়বে। হবে দৈহিক পরিশ্রম। যা তাদের ফিটনেসের জন্যেও ভাল।
ঘ) ট্রাফিক পুলিশের ওপর চাপ কমবে। ভবিষ্যতে আরও পুলিশ নিয়োগের প্রয়োজন হবে না। এই তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রমের কল্যাণে বেঁচে যাবে বাজেটের অর্থ।
ঙ) তরুণরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকার ফলে আশা করা যায় যে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে এবং তারা ভবিষ্যতে নিজেরাও আইন শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের কাছে তাই বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই, সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদেরকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আবারও নিয়োজিত করা হোক।
Leave a Reply