কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের আজ (সোমবার) বেলা ৩টার মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ নির্দেশনার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যে দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন-চট্টগ্রাম নৌপথে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের সব সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ, স্পিডবোট, কাঠের বোট বা যেকোনও ধরনের জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকদের দুপুর ৩টার মধ্যে দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেকনাফ থেকে যাওয়া জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকা পর্যটকদের নিয়ে আসবে।’
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৮০, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ২৭২ এবং এমভি বার আউলিয়ার ৭২৭ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যান। এসব জাহাজ দুপুর ১টার মধ্যে সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছায়। এর আগের দিন (রবিবার) বেড়াতে গিয়ে তিন শতাধিক পর্যটক রাতযাপনের জন্য সেন্টমার্টিন ছিলেন।
জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদফতরের ৩নং সতর্কতা সংকেতের কারণে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সব হোটেল, রিসোর্ট এবং স্থানীয়দের মাঝে মাইকিং করে জানানো হয়েছে, আগামীকাল জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকদের দ্বীপ ত্যাগ করার কথাও বলা হয়েছে।’
Leave a Reply